হাদিস
কোরআন শরীফ অবমাননার শাস্তি
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ । মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে সূরা হুজুরাতের ১৩ নম্বর আয়াতে বলেন,হে মানবমন্ডলী! আমি তোমাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি । আর তোমাদের বিভিন্ন সম্রদায় ও গোত্রে বিভক্ত করেছি । যাতে তোমারা পরস্পর পরিচিত হতে পারো । রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সব মানুষই আদম (আঃ)-এর বংশধর, আর আদম মাটি থেকে সৃষ্ট । (তিরমিজ)
হজরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত যত পয়গম্বর কালিমার দাওয়াত দিয়েছেন তাদের কেউ কখনোই কারো উপর দ্বীনের বোঝা চাপিয়ে দেননি । ইসলামের ইতিহাসে এমন কোনও দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে মুসলমানেরা জোর করে কাউকে ইসলামে দীক্ষিত করেছেন । কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,দ্বীনের মধ্যে কোনও জবরদস্তি নেই(সুরা বাকারাঃ২৫৬)
ইসলাম সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে । ধর্ম পালনে কেউ বাধাগ্রস্ত হবে না । পবিত্র কুরয়ানে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য, আমার দ্বীন আমার জন্য (সূরা কাফিরুনঃ ০৬)
তাই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ, উপাসনালয় ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্টান নিয়ে কোনোরূপ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ গ্রহণযোগ্য নয় । এবং এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্যই রব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে সূরা আনয়াম এর ১০৮ নম্বর আয়াতে বলেন, আল্লাহকে ছেড়ে যে মূর্তির পূজা করা হয়ে থাকে, তাদের তোমারা গালি দিও না । তাহলে তারাও সীমালঙ্ঘন করে অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকেও গালি দিয়ে বসবে । আল্লাহুআকবার ।
কত চমৎকার করে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জন্য মসুলমানদের কে নছিয়া করেছেন কোরআনে ।
যেই পবিত্র কোরআনে এই সকল নছিয়া রয়েছে । আর সেই পবিত্র কোরআন পৃথিবীর সকল ধর্মকে স্বাধীনতা করেছে । আর সেই পবিত্র কোরআন দেবীর পায়ে । নাউজুবিল্লাহ ।
প্রিয় ভিউয়ার আমি জানি না এই কাজ কে করেছে । যে বা যারা সেই যে ধর্মের অনুসারী হোক না কেনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্ট করার জন্য যারা এই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তারা দুনিয়া ও আখেরাত কোন জায়গায় ছাড় পাবে না ।
যেহুতু পুলিশ ও সংকৃষ্ট উদ্ধত কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন অনতিবিলম্বে অপরাধীদের খুজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন । তাই ধর্মপ্রান মসুলমানদের শান্ত থাকার অনুরোধ করছি । মনে রাখবেন যে এই কাজ করছে সে অব্যশই শাস্তি পাবে । অতি উৎসাহ হয়ে কোন প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাধ্যমে মানুষের জান মালের কোনো ক্ষতি হয় এবং একজন নিরপরাধ মানুষেরও প্রান নাশ হয় তাহলে আল্লাহ আমাদের কখনো মাফ করবেন না ।
একজন কোরআন প্রেমিরা কোরআন এর এই অবমাননা চুপ করে বসে থাকতে পারে না । তাই আসুন যারা এই কাজ করেছে তাদের খুজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানাই ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ