তাবিজ লেখা ও আমল করার জন্য ১০টি প্রয়ােজনীয় বস্তু

তাবিজ লেখকগণের উদ্দেশ্যে পরামর্শ 

তাবিজ লিখকগণের পরহেজগার হতে হবে, মােত্তাকী ও দীনদার হতে হবে। পাবন্দে রােজা, নামায, ও তাহাজ্জুদগুজার, লজ্জা-শরম, স্বল্পে তুষ্ট থাকা এই সমস্ত গুণসমূহ থাকতে হবে এবং মিথ্যা, রিয়া নীচ স্বভাব চক্ষুদোষ ইত্যাদি থাকতে পারবে না এবং সব সময় মানুষের উপকার করার খেয়াল থাকতে হবে। হারাম মাল হতে বেচে থাকবে এবং হালাল রিজিক তালাশ করবে। 

مشهور اهل کمال میں تاثیر خیر و برکت رزق حلال میں    ھے۔

অর্থ-মহামনীষীদের নিকট এ কথা সুস্পষ্ট প্রসিদ্ধ যে, সকল কল্যাণ ও বরকত হালাল রুজির ভিতরে।। 

নেশার দ্রব্য হতে দূরে থাকবে এবং ঐরূপ মানুষ হতেও দূরে থাকবে। যদি কেহ কারাে ক্ষতি করতে চায় এবং সাহায্য চায় তাহলে তাকে বুঝায়ে সেই কাজ থেকে ফিরাতে চেষ্টা করবে। সে যাকে তাবিজ দিবে পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট না করে দিবে ।

যদি কেহ মনের খুশীর জন্য কিছু নির্দিষ্ট করে নিতে পারে, তখন আল্লাহর তরফ হতে সাহায্য নিয়ে তাবিজ তাছীর করবে। উল্লেখিত হেদায়াতের পর যে আমল না করবে তাবিজ তাছীর করবে না এবং সময়ের ভাল মন্দের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে, আছমানী ও জমীনি মােয়াক্কালাতের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। ইহা অতীব প্রয়ােজন। 

তাবিজ লেখা ও আমল করার জন্য ১০টি প্রয়ােজনীয় বস্তু 

তাবিজ লেখা ও আমল করার জন্য ১০টি বস্তু আবশ্যক ১টি বস্তু কম হলে আমল বাতিল হয়ে যাবে যথা: 

(১) সর্বদা অযু অবস্থায় থাকবে। 

(২) পাক-পবিত্র স্থানে থাকবে। 

(৩) আতর গােলাব শরীরে মাখবে। 

(৪) লিখিত কিতাব মুর্শিদে কামেল হতে প্রাপ্ত হতে হবে।। 

(৫) নির্জন কক্ষে বসে লিখবে। 

(৬) শান্ত মনে লিখবে। 

(৭) রাশিসমূহের মঙ্গল ও অমঙ্গল বিবেচনা করে লিখবে। 

(৮) দিনের খাছিয়ত বা স্বভাব সম্পর্কে অবগত হওয়া। 

(৯) সত্যবাদী হওয়া। 

(১০) তাবিজ লেখার সময় জানতে হবে।। 

যদি রােগী লম্বা হয় তবে নিম্নমুখী হয়ে লিখবে, যদি খাট হয় যদি লম্বা বা খাট আকৃতির না হয়ে মধ্যম আকৃতির হয় তবে দ্বিপ্রহরে যদি রােগী উগ্র মেজাজী হয় অগ্নির নিকট বসে আমেল পূর্বমুখী হয়ে ও মেশক, জাফরান দ্বারা তাবিজ লিখবে। অন্যদিকে যদি রােগীর রাশি খs তাহলে মানুষের চলাচলের স্থানে অথবা পুরানাে গােরস্থানে বসে দক্ষিণ দিকে। করে বসবে এবং ভিজা কলা পাতার রস অথবা গােলাব অথবা মেশক জাফরান তাবিজ লিখবে, যদি রােগীর রাশি বাদী বা হাওয়া হয় তাহলে উঁচু স্থানে ২ মুখমণ্ডল উত্তর দিকে করে কালি দ্বারা অথবা মেশক জাফরান দ্বারা তাবিজ লিখবে, যদি রাশী পানির হয়, তবে পানির নিকট বসে এবং পশ্চিম দিকে মুখ করবে, মহব্বতের জন্য তাবিজ লিখতে হলে কলম ডান হাতে নিবে এবং মাসের প্রথম রবিবারে সূর্য উদয়কালে সােমবার দিনের শেষাংশে আছরের নামাযের পূর্বে লিখবে। জুমার দিন যােহরা সেতারার সময় লিখবে। 

শত্রুতা দমনের জন্য তাবিজ লেখার সময় কলম বাম হাতে নিয়ে শনিবার দিনের পূর্বাহ্নে লিখবে। সােমবার দিন ও সেতারার সময় লিখবে। স্বপ্নে খারাপ দেখলে তার জন্য বুধবার দিন তাবিজ লিখবে। যদি শত্রুর জবানবন্দী করার ইচছা করে তাহলে বৃহস্পতিবার দিন লিখবে এবং তাবীজের শুরুতে লিখবে 

با اصحاب البنرات النواس احسوا فلان بن فلان اسرع من طرفة 

العين الوطا الوط) الساعة الساعة الساعة كتبت هذا التعویذ لمحبة 

افلان بن فلان حبا شديدا۔ 

এবং উক্ত মহব্বতের দোয়ার শেষাংশে লিখবে 

الحب لا يبغضها ابدا 

যদি ২ জনের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির জন্য তাবিজ লিখে তাহলে তাবীজের উপরে লিখবে ।

یا اصحاب العداوة والنفضاء والحق والباطل الوط الوط كتبت هذا التعویذ لبغضها شديد الا يحبه ابدا 

এবং ঐ তাবীজের শেষে লিখবে 

كتبت هذا التعويذ عقدته النوم ولسانه و عارا کنتم فلان بن فلان 

কু-স্বপ্নের তাবিজের উপর লিখবে- 

بسم الله الرحمن الرحيم - هذا الحديث تعجبون وتضحكون ولا تبكون - فلبثوا في كهفهم ثلث مائة سنين وازدادوا تسعا. 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ