তাবিজ ব্যবহার করার নিয়মাবলী

তাবিজ ব্যবহার করার নিয়মাবলী নিচে দেওয়া হলঃ 

(১) পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালাই সকল বিপদে-আপদে একমাত্র মুক্তিদাতা । তাবিজ, আমল ও ঔষধপত্র সবই অছীলা মাত্র, ইহা সর্বদা মনে রাখতে হবে। 


(২) একজন হক্কানী পীর মাশায়েখ ও বুজুর্গানেদীনের নিকট ইজাজত ব্যতীত তাবিজ দিবে না এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমল করবে না। 


(৩) অপবিত্র অবস্থায় তাবিজ লিখবে না এবং আমল করবে না। 


(৪) বিড়ি-সিগারেট, নেশাযুক্ত কোন দ্রব্য পান ও দাড়ি মুণ্ডন করে তাবিজ লিখলে ও আমল করলে ফায়দা পাওয়া কঠিন। 


(৫) একজন মােদাব্বের আমেলের জন্য চরিত্রবান, জনকল্যাণকামী, দৃঢ় চেতা এবং নিয়মিত নামাযী ও রােযাদার হওয়া একান্ত প্রয়ােজন। 


(৬) কোন আমল অথবা নকশা কাজে ব্যবহারের পূর্বেই উক্ত নকশা বা আমলের যাকাত আদায় করা আবশ্যক। অন্যথায় ঐ আমল বা নকশা লেখা বা ব্যবহার করা বেহুদা প্রমাণিত হবে। 


(৭) আমলের যাকাত সময়ানুবর্তিতা ও শর্তসমূহ পূরণের মাধ্যমে নিয়মিত আদায় করা আবশ্যক। 


(৮) যাকাত দুনিয়ার কোন স্বার্থ বা উদ্দেশ্য অথবা ধারণার বশবর্তী না হয়ে একমাত্র লি-অজহিলাহ আদায় করতে হবে। অর্থাৎ যাকাত দ্বারা নির্দিষ্ট কোন অজীফা বুঝতে হবে। উহা আদায় করার পরেও দৈনিক মশক হিসেবে নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী আদায় করা আবশ্যক যাতে আমল আয়ত্বে থাকে। 


(৯) আমল যেন অবৈধ কাজের জন্য করা না হয়। অন্যথায় উপকারের অপকার হবে। 


(১০) আমল করার সময় নক্ষত্রসমূহের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য এবং সময়সমূহের দিকেও অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি এই দিকে লক্ষ্য করা না হয়। আমল ক্রিয়াহীন প্রমাণিত হবে। 


(১১) আমল অথবা যাকাত আদায় করার সময় সঠিক ও বিশুদ্ধ উচ্চারণ করে উচিত। কেননা ভুল ভ্রান্তির সাথে পড়লে বা আমল করলে আমেলের উপর বিপদ আসতে পারে। 


(১২) আমল ধারাবাহিক নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে। ধারাবাহিকতা ব্যতীত নকল করে দিলে কোন উপকার হবে না, চাই যাকাত আদায়ের জন্য আমল করুক বা মকছুদ হাছেলের উদ্দেশ্যে করুক, তরতীব বা ধারাবাহিকতার দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। 


(১৩) নক্ষত্রসমূহের মুয়াক্কাল ফেরেশতাগণ ও মানুষের রাশি ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত যাতে আমল করার সময় সেগুলাের দ্বারা উপযুক্ত সাহায্য নেওয়া যায়। চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজীর কক্ষপথসমূহের মধ্যে মিল অমিল ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বুরুজ বা কক্ষপথসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক নক্ষত্রসমূহ তার মুয়াক্কালদের ক্রিয়া ও বৈশিষ্ট্যসমূহ জ্ঞাত থাকা বিশেষ প্রয়ােজন। 


(১৪) অক্ষরের সংখ্যাসমূহ এবং উহাদের বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান থাকা উচিত। 


(১৫) সর্বশেষ ও সর্বাপেক্ষা প্রধান শর্ত হল সত্য কথা বলা, হালাল খাওয়া, পবিত্রতা অবলম্বন ও নিঃস্বার্থ কাজ করা। আমেলের জন্য আরাে প্রয়ােজন হল আহলে সুন্নাত অল জামাতের আকিদাবান হওয়া, উচ্চমনা হওয়া, নিষ্ঠাবান হওয়া এবং আল্লাহর করুণার প্রতি নির্ভরশীল হওয়া। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ