জিনের আসর ও মানসিক চিকিৎসা
রােগ পরিচয়ের পন্থা ও রােগের লক্ষণ
যদি কেহ ব্যাধিগ্রস্ত হয় তাহলে ব্যাধি নির্ণয়ের পন্থা হল কোন নতুন মাটির পাত্রে নিচের তদবীর কালী দ্বারা লিখবে। অতঃপর উহা রােগীর মাথা হতে কদম পর্যন্ত ৭বার টেনে আনবে। তারপর পাত্রটি আগুনের উপর তাপ দিবে এম গরম হলে তারপর দেখতে হবে
(১) হরফসমূহ যদি কালই থেকে যায় তাহলে রােগ শারীরিক।
(২) হরফসমূহ সাদা হলে যাদু বা ক্ষতি।
(৩) হরফসমূহ লাল হলে যােগীর (সন্নাসী) নজর।
(৪) হরফসমূহ উধাও হয়ে গেলে দেও বা পরীর আছর।
তদবীরটি এইঃ
মাশায়েখ (রঃ) বলেছেন, যখন কোন রােগীর রােগের অবস্থা জানার ইচ্ছা হয় তাহলে তার পরিধেয় রুমাল পরিমাপ করবে অথবা ঐ সময়েই উহা তার চেহারা ও বক্ষে স্পর্শ করে তার উপর নিমােক্ত আযীমত পাঠ করে ৩ বার দম করবে।
ইহাতে ১ আঙ্গুল কম হলে দেওয়ের ছায়া ।
ইহাতে ২ আঙ্গুল কম হলে পরীর নজর বিপদ।
ইহাতে ৩ আঙ্গুল কম হলে ছেহরের আক্রমণ।
ইহাতে ৪ আঙ্গুল কম হলে শুকুনের নজর।
ইহাতে ৫ আঙ্গুল কম হলে শারীরিক ব্যাধি।
আযীমত
যাদু পরীক্ষা
সূরা ফাতেহা সম্পূর্ণ পড়ে বৃষ্টির পানিতে দম করে ভাজন স্থানসমূহে ছিটায়ে ঘুমাবে। ইলহামের মাধ্যমে যাদুর স্থান সম্বন্ধে সন্দেহ ওয়াকেফ হতে পারবে।
পরীক্ষা (নুন পড়া)
আয়াতুল কুরসী ৭ বার পড়ে প্রত্যেকবারই কিছু নুনের পর ফক দিবে। অতঃপর উক্ত পড়া নুন হতে রােগীকে কিছুটা খেতে দিবে ।
১। যদি নুন কস কস লাগে তবে মনে করবে জীনের আসর।
২। যদি ঝাল লাগে তবে মনে করবে যাদু ছেহের।
৩। যদি তিতা লাগে তবে মনে করবে বান মেরেছে।
৪। যদি মিষ্টি লাগে তবে মনে করবে ভয়ের কারণে।
৫। যদি স্বাভাবিক থাকে তবে মনে করবে অন্য কোন ব্যাধি (ডাক্তারী পরামর্শ নিবে)।
তদবীর করলে রােগী সুস্থ হবে কিনা জানার আমল
যদি কোন হারান ব্যক্তি জীবিত আছে না মারা গেছে বা কোন হারানাে দ্রব্য ফিরে পাবে কি না বা কোন উদ্দেশ্য পুরা হবে কি না অথবা তদবীর করলে রােগী সুস্থ হবে কি না ইত্যাদি জানতে চায় তাহলে নিমােক্ত আমল করবে
অজু করে পাক সাফ বিছানায় শুয়ে নিমােক্ত আযীমত পড়তে পড়তে ঘুমায়ে যাবে ইনশাআল্লাহ খাবে অবস্থা জানতে পারবে।
তাবিজটি মেশক জাফরান দিয়ে লিখে বালিশের নিচে রেখে ঘুমালে বেশী ফায়দা পাবে ।
রােগীর অবস্থা জানার পদ্ধতি
আমেল ৪০ দিন পর্যন্ত নিয়মিত রােজা রেখে নামায আদায় করত: সূরায়ে ইখলাস প্রত্যহ ১০০০ বার করে মনযােগসহ পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ স্বপ্নে যার হাল জানতে চায় তা জানতে পারবে।
২নং পদ্ধতি
কোন রােগীর ব্যাপারে যদি জানতে চায় যে সে তাড়াতাড়ি ভাল হবে কি না? তাহলে নিমােক্ত আয়াতগুলি লিখে অজু করে পবিত্র অবস্থায় একটা থালা বা বাসনে পানি ভর্তি করে তার মাঝে ছেড়ে দিবে। আয়াত এই
(১) যদি কাগজটি কাগজটি ভাসে তাহলে বুঝবে রােগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
২। যদি উহা পানির মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে তাহলে বুঝবে রােগী দেরীতে সুস্থ হবে ।
(৩) আর যদি উহা যদি উহা পানীর নীচে বসে যায় তাহলে বুঝতে হবে রােগী সুস্থ হবে না (তার মৃত্যু সন্নিকটে)।
৩নং পদ্ধতি
মুরগীর তাজা ডিমের উপরে নিমােক্ত দোয়া লিখে রােগীর মাথার শিয়রে উহা ভেঙ্গে ফেলবে।
(১) যদি তার মধ্য হতে রক্ত রেব হয় তাহলে বুঝবে রােগী অনেক দেরীতে সুস্থ হবে।
(২) যদি ঐ রক্তের মাঝে কিছুটা কালাে রং থাকে তাহলে রােগী জলদী মারা যাবে।
(৩) যদি ডিমটির রং সাদা ও হলুদ হয় বা নিজস্ব রং এ (অপরিবর্তনীয়) থাকে তবে বুঝবে রােগী খুব দ্রুত সুস্থ হবে। দোয়া এই
৪নং পদ্ধতি
আমেল যদি রােগীর অবস্থা জানতে চায় তাহলে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করবে
আলহামদু শরীফ ৭বার, আয়াতুল কুরসী ৭বার, সূরা কাফেরূন ৭বার, সরা ইখলাছ ৭বার, সূরায়ে ফালাক ৭বার, সূরায়ে নাস ৭বার পড়ে রােগীর গায়ে ফুক দিবে। যদি তাতে অসুস্থতা বেড়ে যায় তাহলে মনে করবে আসীব বা আসর। আর যদি কমে যায় তাহলে মনে করতে হবে যাদু। আর যদি একই অবস্থা থাকে তাহলে মনে করবে কোন শারিরীক ব্যাধি।
৫নং পদ্ধতি
যদি কেহ রােগীর শারিরীক ব্যধিগ্রস্ত না কি জিন ভুতের আছর অবস্থা জানতে চায় তাহলে ৭ গাছী নীল রং এর সুতা একত্র করে রােগীর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলী হতে কপালের মাথায় চুল গজানাের স্থান পর্যন্ত মেপে ১ বার দরূদ শরীফ, ৭ বার আলহামদু শরীফ, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ৭ বার নিম্নলিখিত দোয়া পড়ে সুতায় ফুক দিবে।
অতঃপর পুনরায় রােগীকে পূর্বের মতাে মেপে দেখবে যদি ১ আঙ্গুল কম হয় তাহলে জীনের আছর। আর যদি ২ আঙ্গুল কম হয় তাহলে ভুত (আসীব), ৩ আঙ্গুল কম হলে তাহলে যাদু, ৪ আঙ্গুল হলে মিতৃকা, ১ আঙ্গুল বাড়লে বদ নজর
এবং ২ আঙ্গুল বাড়লে কুফরী নজর, ৩ আঙ্গুল বেশী হলে বাতাস লাগা এবং
৪ আঙ্গুল বেশী হলে জ্বরাক্রান্ত। আর কোন কম বা বেশী না হলে শারীরিক কোন রােগ মনে করবে।
৬নং পদ্ধতি
একটি নতুন অধৌত মাটির পেয়ালায় নিম্নলিখিত নকশাটি লিখে ৭ বার রোগীর মাথা ও শরীরের উপর দিয়ে ঘুরায়ে এনে আগুনে ফেলে দিয়ে এবং আগুনে বাতাস দিয়ে উত্তপ্ত করবে যদি তাতে নকশার হরফসমূহ সাদা হয়ে যায় তাহলে
যাদু এবং লাল হলে ভুতের আছর। আর হরফ অদৃশ্য হলে পরীর আছর এবং হরফসমূহ কালাে হলে শারীরিক কোন ব্যাধি মনে করবে।
নকশা এই
৭নং পদ্ধতি
শনিবার বা মঙ্গলবার নতুন অধৌত মাটির পেয়ালায় নিম্মলিখিত নকশাটি লিখে রােগীর মাথা হতে পা পর্যন্ত ঘুরায়ে উত্তপ্ত কয়লার আগুনে দিবে । অত:পর কিছুক্ষণ পর বের করে লক্ষ্য করবে
যদি হরফ সাদা হয় তাহলে জীনের আছর, লাল হলে পেত্নীর আছর, হরফ গায়েব হলে দেও পরীর আছর এবং পূর্বাবস্থায় বহাল থাকলে শারীরিক ব্যাধি নকশা এই
৮নং পদ্ধতি
অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থা জানতে হলে নিম্নের নিয়মে আমল করবে
আলহামদু শরীফ ৭বার, আয়াতুল কুরসীর ৭বার, সূরায়ে কাফিরূন ৭বার, সূরায়ে এখলাছ ৭বার এবং সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাছ ৭বার পড়ে রােগীর গায়ে ফুক দেবে। যদি অসুখ বেড়ে যায় মনে করবে দেও দানবের আছর, যদি রােগ কমে যায় তাহলে যাদু করছে এবং যদি আগের মত বাড়ে নাই বা কমে নাই তাহলে কোন ব্যাধি মনে করবে।
সংবাদবাহক সত্যবাদী না মিথ্যাবাদী
যদি কেহ জানতে চায় আগন্তুক সংবাদবাহক সত্যবাদী না মিথ্যাবাদী তাহলে উক্ত সংবাদ দাতার নামের হরফসমূহের মান এবং মায়ের নামের হরফের মান ও যে দিনে সংবাদ দিবে এর মান একত্র করে যােগ ফলকে ৩ দ্বারা ভাগ করবে। অতঃপর যদি ভাগ শেষ ১ থাকে তাহলে সংবাদ মিথ্যা। যদি ভাগ শেষ ২ থাকে তাহলে সংবাদ সত্য। আর যদি কোন ভাগ শেষ না থাকে তাহলে সত্য ও মিথ্যা উভয়ের। সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ