কাজা রোজা করার নিয়ম
রোজার কাফফারা হাদিস
১। মাসআলা কোন কারণবশতঃ যদি রমযানের সব রোযা বা কতেক রোযা রাখিতে না পারে, রমযানের পর যত শীঘ্র সম্ভব হয় ঐ সব রোযার ক্বাযা রাখিতে হইবে, দেরী করিবে না (হায়াত মউতের বিশ্বাস নাই,) বিনা কারণে ক্বাযা রোযা রাখিতে দেরী করিলে গোনাহগার হইবে।
২। মাসআলা: ক্বাযা রোযা রাখিবার সময় দিন তারিখ নির্দিষ্ট করিবে যে, ‘অমুক দিনের অমুক তারিখের রোযার ক্বাযা করিতেছি। অবশ্য এরূপ নিয়্যত করা জরুরী নহে। শুধু যে কয়টি রোযা ক্বাযা হইয়াছে, সে কয়টি রাখিলেই যথেষ্ট হইবে। অবশ্য যদি ঘটনাক্রমে দুই রমযানের ক্বাযা রোযা একত্র হইয়া যায়, তবে এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করিয়া নিয়াত করিতে হইবে যে, “আজ অমুক বৎসরের রমযানের রোযা আদায় করিতেছি।"
৩। মাসআলা: ক্বাযা রোযার জন্য রাত্রেই নিয়্যত করা যরূরী (শর্ত)। ছোবহে ছাদেকের পরে ক্বাযা রোযার নিয়্যত করিলে ক্বাযা ছহীহ্ হইবে না, রোযা রাখিলে সে রোযা নফল হইবে। ক্বাযা রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে।
৪। মাসআলা: কাফ্ফ্ফারার রোযারও একই হুকুম; যদি ছোবৃহে ছাদেকের পুর্বে রাত্রেই কাফফারার বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়া নিয়্যত না করে, তবে কাফফারার রোযা ছহীহ্ হইবে না; (সেই রোযা নফল হইয়া যাইবে, কাফ্ফারার রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে।
৫। মাসআলাগত রমযানের কিছু রোযা ক্বাযা ছিল, তাহা ক্বাযা না করিতেই পুনরায় রমযান আসিয়া গেল, এখন রমযানের রোযাই রাখিতে হইবে, ক্বাযা রোযা পরে রাখিবে। এরূপ দেরী করা ভাল নহে।
৬। মাসআলাঃ রমযান শরীফের সময় দিনের বেলায় যদি কেহ বেহুঁশ হইয়া পড়ে এবং কয়েকদিন যাবৎ বেহুঁশই থাকে, তবে যদি কোন ঔষধ ইত্যাদি হব্রুমের নীচে না যাইয়া থাকে, তবে বেহুঁশীর প্রথম দিনের রোযার নিয়ত পাওয়া গিয়াছে, কাজেই প্রথম দিনের রোযা ছহীহ্ হইয়া যাইবে, পরে যে কয়দিন বেহুঁশ রহিয়াছে, সে কয়দিনের নিয়াত পাওয়া যায় নাই বলিয়া কিছু পানাহার না হওয়া সত্ত্বেও সে কয়দিনের রোযা হইবে না, সে কয়দিনের রোষার ক্বাযা করিতে হইবে।
৭। মাসআলাঃ এইরূপে যদি রাত্রে বেহুঁশ হয়, তবুও প্রথম দিনের রোযার ক্বাযা করা লাগিবে না। বেহুঁশীর অন্যান্য দিনের কাযা ওয়াজিব হইবে। অবশ্য যদি পরদিন রোযা রাখার নিয়্যত না করিয়া থাকে, অথবা কোন ঔষধাদি সকাল বেলায় গলার নিচে বা পেটের মধ্যে যাইয়া থাকে, তবে ঐ দিনেরও ক্বাযা রাখিতে হইবে।
৮। মাসআলাঃ যদি কেহ সমস্ত রমযান মাস ব্যাপিয়া বেহুঁশ অবস্থায় থাকে, তবে সুস্থ হওয়ার পর সমস্ত রমযান মাসের রোযা ক্বাযা করিতে হইবে। ইহা মনে করিবে না যে, বেহুঁশ থাকার কারণে রোযা একেবারে মাফ হইয়া গিয়াছে। অবশ্য যদি কেহ সমস্ত রমযান মাস ব্যাপিয়া পাগল থাকে, মাত্রই ভাল না হয়, তবে তাহার রমযানের রোযার ক্বাযা করা লাগিবে না; কিন্তু যদি রমযানের মধ্যে ভাল হয়, তবে যে দিন হইতে ভাল হইয়াছে সে দিন হইতে রীতিমত রোযা রাখিবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ